আপনি কি ইউটিউবার হতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্য।

Published: 2021-04-11 07:30:00

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার দিক থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে ইউটিউব।  নাটক, গান, নাচসহ জ্ঞানভিত্তিক ভিডিওগুলোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বড় বড় ভিডিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিউব কে বেছে নিচ্ছে তাদের কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে। তবে পূর্বে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়া ছিল অনেক সহজ। বর্তমানে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনেকটা কঠিন। চলুন জেনে নেয়া যাক যদি ইউটিউবার হতে চান তবে যে বিষয়গুলি আবশ্যিকভাবে জানতে হবে।

কাজের ক্ষেত্র বাছাই :  ইউটিউব চ্যানেল করার শুরুতে এটা নিশ্চিতভাবে ঠিক করে নিতে হবে চ্যানেলে কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করা হবে। শিক্ষামূলক, বিনোদন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বা রিভিউ? একটি চ্যানেলে একাধিক ঘটনার ভিডিও দেওয়া হলে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার পাওয়া যায় না। প্রতিটি নতুন কন্টেন্ট যেন ঐ  ধরনের সকল ভিডিও থেকে আলাদা হয় তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সবশেষে চ্যানেলের ভাষা ঠিক করতে হবে। ইংরেজি হয়তো পৃথিবী জুড়ে সাবস্ক্রাইবার এনে দেবে। তবে প্রফেশনাল চিন্তা ভাবনা থাকলে বাংলা ভাষা নির্বাচন করা উচিত।

চিত্রনাট্য : চিত্রনাট্য ছাড়া কোনো ভিডিও  সুন্দরভাবে তৈরি করা অসম্ভব। বিষয় নির্ধারণ হওয়ার পর ভিডিওটি কতটুকু সময়ের হবে তাও ঠিক করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫-১০ মিনিটের ভিডিও করা উচিত। তবে ভিডিওি এর থেকে বড় হল ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করা উচিত। একই ভিডিও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে শুট করলে ভিডিওর গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে অনেকখানি।

সম্পাদনা :  ভিডিও এবং অডিও ধারণ পর সেটি সম্পাদন করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত মাঝারি মানের ৬৪ বিট, ৮ জিবি র‌্যাম, কোয়াডকোর এবং এসএসডি সম্বলিত ডেস্কটপ। ভিডিও এডিটিং এর জন্য এডোবি সহ সনির জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে। এছাড়া নয়েজ বাদ দেওয়া ও মিউজিক মিক্স করার জন্য অডাসিটি খুবই জনপ্রিয়। 

ইউটিউব স্টুডিও :  প্রতিটি চ্যানেলের জন্য ইউটিউব আপলোড ও সম্পাদনার জন্য পেইজ দিয়ে থাকে। এখানে ভিডিও আপলোডের পর কিছু ছোটখাটো সম্পাদনা, ভিডিওর প্রিভিউ, থাম্বনেইল নির্ধারণ, চ্যানেল এর বিবরণ, ভিডিওর বিবরণ নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। চ্যানেল গড়েতে হলে অবশ্যই ভিডিওর টাইটেল, থাম্বনেইল এবং ট্যাগ হতে হবে আকর্ষণীয়। নির্দিষ্ট সময় পরপর চ্যানেলে নতুন ভিডিও আপলোড করতে হবে। অন্তত সপ্তাহে একটি করে ভিডিও দিতে হবে। 

নিয়ম কানুন :  সব ধরনের কনটেন্ট থাকলেও ইউটিউবে দেওয়া যাবেনা। বিশেষ করে সহিংসতা, আডাল্ট কনটেন্ট এবং পাইরেসি প্রচার করতে ইউটিউব একেবারেই নারাজ। অন্যান্য গ্রহণযোগ্য  কপিরাইট করা গান বা ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করা হয়, তাহলে ইউটিউব টা মুছে দিয়ে চ্যানেলটিকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে ইউটিউব এর নিয়ম কানুন। এসকল সম্পর্কে আপডেট থাকতে সাহায্য নেয়া যেতে পারে ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন থেকে।

মনিটাইজেশন :  সফল চ্যানেলগুলোকে ইউটিউব কিছু অর্থ দিয়ে থাকে। সেটাকে বলা হয় মনিটাইজেশন। ভিডিওগুলোতে ইউটিউব এর পক্ষ থেকে দেখানো বিজ্ঞাপন বসিয়ে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। তবে এক বছরের মধ্যে অন্তত 4000 ঘন্টা ভিউ, 1000 সাবস্ক্রাইবার ছাড়া ইউটিউবে এখন আর মনিটাইজেশন সম্ভব নয়। মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য এছাড়া প্রয়োজন এডসেন্স একাউন্ট। সবকিছু ঠিকঠাক হবার পর ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, হুট করে ইউটিউবে সফলতা আসবে না। ধারাবাহিকভাবে লেগে থাকলে সফলতা আসবে বলে আশা করা যায়।



There are no comments yet.
Authentication required

You must log in to post an answer.

Log in